তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিং খাতে সফল মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসার সব খরচ দিচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বেসিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মেলনে বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, শুধু চিকিৎসার খরচ নয়, তাঁর বিমান ভাড়া, পাসপোর্ট, ভিসা এমনকি দেশে ফিরে আসার পর যে ধরনের খরচ রয়েছে, সেটিও বেসিসের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে। জাহিদের চিকিৎসার জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রথম পর্যায়ে ২২ লাখ টাকার মতো খরচ করা হবে। ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত জাহিদের মেরুদণ্ড বর্তমানে বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এক জায়গায় ১০ মিনিটের বেশি বসে থাকতে পারেন না। তিনি শ্বাসকষ্টেও ভুগছেন। আগামী মাসে চিকিৎসার জন্য জাহিদকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
জাহিদের বাবা মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘দুই বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়েও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে জাহিদ। তবে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকেনি। সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে সে। জাহিদের পক্ষে চাকরি করা সুবিধাজনক নয়, তাই ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেয়।’ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে ঢাকা জেলার বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সার বেসিস আউটসোর্সিং পুরস্কার পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।
জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাঁটতে না পারলেও আমার মা-বাবা কোলে করে নিয়ে গিয়ে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার আমার প্রবল আগ্রহ থাকায় হুইলচেয়ারে বসেই আমি সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়েছি।’ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদ, মহাসচিব উত্তম কুমাল পাল প্রমুখ।
সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিবন্ধী বা শারীরিকভাবে অসুস্থ তরুণদের সহায়তার জন্য বেসিস কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের জন্য একটি প্রশিক্ষণপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হবে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।
সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিবন্ধী বা শারীরিকভাবে অসুস্থ তরুণদের সহায়তার জন্য বেসিস কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের জন্য একটি প্রশিক্ষণপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হবে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।
সূত্রঃ-প্রথম আলো